ওয়েব হোষ্টিং এ চলছে ২৫% - ৩৫% বিশেষ ছাড়!
Premium Hosting Pricing Plans
SELECT YOUR BEST HOSTING NOW!
Standard
Smart
Business
Unlimited Pro
কমদামি হোস্টিং এর রহস্য কি?
৫ জিবি হোস্টিং কেউ দিচ্ছে ১৮০ টাকায় আবার কেউ দিচ্ছে ১৮০০ টাকায় কিন্তু আসলে এর পেছনের রহস্য কি? যে ১৮০ টাকায় সার্ভিস দিচ্ছে সে ভালো অপরদিকে যে ১৮০০ টাকায় সার্ভিস দিচ্ছে সে ডাকাত, হ্যাঁ অধিকাংশ ইউজারের এটাই ধারণা। আপনার ধারণা ভুল না সঠিক সেটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না, আপনি যেহেতু ক্লিক করে এখানে এসেছেন তাঁর মানে আপনি ভালো মন্দ পার্থক্য করতে আগ্রহী। তাই আমরা জাস্ট কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরেছি যার মাধ্যমে ভালো খারাপের সঠিক পার্থক্য নির্ণয় করতে আপনাকে সহয়তা করবে।
কিভাবে এত কমদামে হোস্টিং দেয়?
সীমিত কাস্টমার সাপোর্ট
ম্যক্সিমাম কমদামি হোস্টিং প্রভাইডাররা ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে থাকে, মানে একাই সার্ভার ম্যানেজমেন্ট, একাই ক্লাইন্ট হান্টিং এবং একাই কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে থাকে যার কারণে তাঁদের পক্ষে ২৪/৭ সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়না। কিন্তু হোস্টিং বিজনেসে ২৪/৭ সাপোর্ট একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, কেননা ইউজার কখন কি প্রবলেম ফেস করবে বলা যায়না আর প্রবলেমের সময় যদি ইনস্ট্যান্ট সাপোর্ট না পাওয়া যায় তাহলে ইউজারের জন্য খুবই সমস্যা হয়ে যেতে পারে। যেহেতু তাঁদের ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না, সাপোর্টের জন্য আলাদা লোক রাখতে হচ্ছে না তাই এখানে তাঁদের প্রায় ৫-৬ জন ইমপ্লোয়ির স্যালারি বেচে যাচ্ছে।
ক্র্যাকড লাইসেন্স
হোস্টিং ব্যবসায়ীদের একটি বড় এমাউন্টের খরচ পড়ে যায় WHMCS Licence, WHM/cPanel Licence, Cloud Linux, Litespeed সহ বিভিন্ন Security Software ও Module এর লাইসেন্সের পিছে। আপনি যদি ঠিক মতো যাচাই করেন তাহলে দেখতে পারবেন যারা কমদামে হোস্টিং প্রভাইড করে তাঁরা অধিকাংশই ক্রাক লাইসেন্স, নাল থীম ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু তাঁদের এইসব লাইসেন্স কিনতে হচ্ছে না তাই এখানে প্রায় ৫০% খরচ কম হচ্ছে আর যার কারণেই কম দামে হোস্টিং দিতে পারছে। কিন্তু অপরদিকে এইসব ক্র্যাক লাইসেন্স, নাল থীম ব্যবহার করার জন্য ইউজারদের ওয়েবসাইট সিকিউরিটি ইস্যুতে পড়ে যাচ্ছে।
লো কনফিগারেশন সার্ভার
কমদামি হোস্টিং প্রভাইডাররা অধিকাংশই কস্ট কাটিং করার জন্য লো কনফিগারেশনের সার্ভার ক্রয় করে থাকে বা অন্য কোন কোম্পানীর অফারে রিসেলার প্ল্যান নিয়ে তা ইউজারদের মাঝে কমদামে বিক্রি করে। এখানে যেহেতু তাঁরা কোয়ালিটির দিকে না তাকিয়ে শুধু কস্ট কাটিং করার জন্য কমদামে সার্ভার ক্রয় করতে পারছে তাই কম দামে সার্ভিসও দিতে পারছে।
ওভার সেলিং
ওয়েবসাইট স্পিড স্লো হবার প্রধান একটি কারণ হচ্ছে ওভার সেলিং সার্ভার। আর ওভারসেলিং কমদামি হোস্টিং প্রভাইডাররা বেশি করে থাকে, কেননা তাঁদের সার্ভার কস্ট তুলতে হয় এবং প্রফিট মার্জিনও ঠিক রাখতে হয়। যেখানে ভালো কোন প্রভাইডার হয়তো একটি সার্ভার রিসোর্স দশ ভাগে ভাগ করে ১০ জনের কাছে সেল করছে, সেখানে কমদামি হোস্টিং প্রভাইডাররা একই রিসোর্স ৩০-৪০ ভাগে ভাগ করে সেল করছে।
কমদামি হোস্টিং কেন কিনবেন না?
ওয়েবসাইট তৈরি করার পেছনে সবারই কোন না কোন উদ্দেশ্য থাকে। কেউ হয়তো তাঁর প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে, আবার কেউ হয়তো অনলাইন থেকে আর্নিং করার উদ্দেশ্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে, বলা যায় একেকটা ওয়েবসাইট যেন এক একটা স্বপ্ন। আর এখানে ওয়েবসাইট গ্রোথ এর পেছনে আপনার ব্যবসার ফিউচার নির্ভর করছে।
আপনাকে যদি প্রশ্ন করি: সামান্য কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য আপনার স্বপ্নকে ঝুকিতে ফেলবেন? নিশ্চয় উত্তর হবে কখনোই না। যদি উত্তর না হয়ে থাকে তাহলে কেন ভাই অল্প কিছু টাকা সেভ করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে ঝুকিতে ফেলছেন? এখনো বুঝতে পারছেন না? ওকে, কমদামি হোস্টিং কিনলে কি কি ক্ষতি হতে পারে এই সম্পর্কে আমি ৫ টি পয়েন্ট তুলে ধরছি।
Slow Speed সাইট
খুব সাধারণতই কমদামি হোস্টিং প্রোভাইডাররা প্রফিট মার্জিন ঠিক রাখার জন্য প্রচুর ওভারসেলিং করে থাকে এবং একই সাথে লো কনফিগারেশনের সার্ভার প্রভাইড করে থাকে যা সম্পর্কে উপরে একবার আলোচনা করেছি। এই ওভারসেলিং এর জন্য ওয়েবসাইট স্পিড খুবই স্লো হয়ে থাকে। গুগোলের একটি রিসার্সে দেখা গেছে কোন ওয়েবসাইট লোড হতে যদি ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে তাহলে ৫৩% ট্রাফিক অন্য সাইটে মুভ করে।
সাপোর্ট সমস্যা
দেখা যায় মার্কেটে যেই কোম্পানীগুলো নতুন এসেছে যাদের কাস্টমার প্রয়োজন তারাই বেশিরভাগ কমদামি হোস্টিং প্রোভাইড করে থাকে, আর এ জন্যই খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কেটে নতুন এসেই তাঁরা ২৪/৭ সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে পারে না। যার কারণে আপনার সাইটের কোন প্রবলেমে হলে আপনি যে কোন সময় ইনস্টান্ট সাপোর্ট পাবেন না।
হ্যাক হবার সম্ভবণা
ক্র্যাক লাইসেন্স, নাল থীম ব্যবহারকারী হোস্টিং এর তেমন বিশেষ কোন সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকে না। যার কারণে যে কোন মুহূর্তে আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যাবার সম্ভবণা থাকে।
নো এসইও রেজাল্ট
আপনার সাইটে যতই SEO করেন না কেন বা যত প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্টকে দিয়েই কাজ করান না কেন, যদি সাইটের স্পিড খারাপ হয় তাহলে এই এসইও কোন কাজেই আসবে না। Google’s 200 Ranking Factors এর একটি বড় রুলস হচ্ছে সাইট স্পিড।
জিন পরি গায়েবী সমস্যা
ফাঁদে পা দিলেন, কিনলেন, ঠকলেন, হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। ডোমেইন হোস্টিং কমিউনিটিগুলোতে একটু খোঁজ নিলে দেখতে পারবেন প্রায়ই কোন না কোন কমদামি নামধারি হোস্টিং প্রভাইডার জিন,পরির মতো গায়েব হয়ে যায়।আচ্ছা আপনার কাছে একটা প্রশ্ন: কখনো কি দেখেছেন, যে কোম্পোনীগুলো মার্কেটে ৫-৬ বছর যাবত সার্ভিস দিয়ে আসছে তাঁরা কি কখানো এভাবে গায়েব হয়েছে?
কমদামি হোস্টিং তাহলে কাদের জন্য?
হোস্টিং কেনার সময় কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন?
- আপনার হোস্টিং প্রভাইডার অরিজিনাল লাইসেন্স ব্যবহার করে কিনা চেক করে নিবেন।
- নিউ প্রাইজ আর রিনিউ প্রাইজের মধ্যে পার্থক্য কেমন হবে।
- যে প্রভাইডার থেকে হোস্টিং নিচ্ছেন তাঁদের রিভিউ কেমন, কত দিন যাবত মার্কেটে আছে ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই যাচাই করে নিবেন।
- কোন মানিব্যাক গ্যারান্টি আছে কিনা দেখে নিবেন।
- আপনার ওয়েবসাইট এর টার্গেটেড অডিয়েন্স লোকেশন এবং সার্ভার লোকেশন সম্পর্কে জেনে নিবেন।
- হোস্টিং এর সাথে CDN ইন্টিগ্রেটেড আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।
- হোস্টিং এর ব্যাকআপ সিস্টেম কেমন জেনে নিবেন।
- সিকিউরিটি সিস্টেম কি কি ব্যবহার করা হয়েছে জিজ্ঞেস করে নিবেন।
ডোমেইন কেনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখবেন?
- ডোমেইন এর ফুল কন্ট্রোল প্যানেল দিবে কিনা।
- রিনিউ প্রাইজ কত হবে জেনে নিবেন।
- আপনার প্রভাইডার কোন রেজিট্রি থেকে ডোমেইন সেল করছে।
- যে প্রভাইডার থেকে ডোমেইন নিচ্ছেন তাঁদের রিভিউ কেমন, কত দিন যাবত মার্কেটে আছে।
- আপনার প্রভাইডার অন্য কোন কোম্পানীর অফার এবইউজ করে ডোমেইন কিনে দিচ্ছে কিনা।
উপরের সমস্ত সমস্যার সমাধান দিচ্ছে সহজইতো ইকোসিসটেমস্ এর ক্লাউড সার্ভিস। আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন আমাদের ডোমেইন ও হোষ্টিং সেবা।